প্রকাশিত: Mon, Jan 1, 2024 11:14 PM
আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 6:28 PM

[১]নির্বাচন শুধু সুষ্ঠু হলে হবে না, বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে: সিইসি [২]শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখলে অসুবিধা নেই

 এম এম লিংকন: [৩] প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, অনেকে মনে করেন কমিশনের অনেক ক্ষমতা। রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা নেই, থাকলে নির্বাচনটা আরো ৩ মাস পিছিয়ে দেওয়া যেত। এটা ৬ মাস বা বছর বা ৩০ বছর পিছিয়ে দেওয়া যেত।  কিন্তু রাজনীতিবিদরা জানেন, নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই করতে হয়। 

[৪] ২০১৪ সালের নির্বাচন সার্বজনীন হয়ে ওঠেনি মন্তব্য করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ১৮ সালের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। পরবর্তীতে সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। পাবলিক পারসেপশনটা ইতিবাচক হয়নি। নির্বাচন শুধু সুষ্ঠু হলে হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন সেটা বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। এই বিশ্বাসযোগ্যতা যদি না থাকে তাহলে পাবলিক পারসেপশন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদি রং পারসেপশন গড়ে ওঠে সেটাই সত্য পারসেপশন। 

[৫] সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের আইন বিধি বিধান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

[৬] তিনি বলেন, এটা ঐতিহাসিক সত্য বাংলাদেশের নির্বাচনটা আজ অব্দি একটি স্থিতিশীল অবস্থানে এসে থিতু হতে পারেনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ের নির্বাচন দেখেছি। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে না বা হয় মোটামুটি যদি গ্রহণযোগ্য হয় সেটা নির্বাচন।  কারণ নিরুঙ্কুশ অর্থে সামান্যতম অনিয়ম যে হবে না এটা কখনোই বলা যাবে না। কিছুটা উত্তাপ নির্বাচন হবে কিছুটা গন্ডগোল হতে পারে। সহিংসতা হতে পারে। এগুলো  খুব বেশি ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। যেটা অসহনীয় সহিংসতা সেটা প্রতিরোধ করতে হবে। 

[৭] তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা করতে হবে যতদূর সম্ভব নির্বাচনটাকে দৃশ্যমানভাবে স্বচ্ছ করে তুলতে হবে। দৃশ্যমানতার মাধ্যমে জনগনের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইন্টারন্যাশনাল ডাইমেনশন আছে। সেটাকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই? কারণ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির কাছে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। সহিংসতাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা উচিৎ না এটা জনমনে ভীতির সৃষ্টি করে। 

[৮] দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটা অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে নির্বাচনের বিপক্ষে বক্তব্য রাখছেন। সেটা অসুবিধা নেই; তারা জনমত সৃষ্টি করতে পারেন। কিন্তু সহিংস পন্থায় যদি এটার বিরুদ্ধাচরণ করা হয় বা যারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটার তাদের যদি বাধা প্রদান করা হয় তাহলে অবশ্যই সংকট দেখা দিবে। সেই সংকটা মোকাবেলা আমাদেরকে করতে হবে। 

[৯] এই কারণে করতে হবে নির্বাচন আমাদের নির্ধারিত সময়ে করতে হয় এখানে প্রতিহত করার চেষ্টা আসতে পারে। বিপত্তি আসতে পারে তারপরও এই দায়িত্বটা আমাদের পালন করতে হবে। সম্পাদনা: ইকবাল খান